জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Masjid) এ নামাজ বন্ধ করা যাবেনা, জানালো আদালত।

Published on

এবার জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Masjid) মামলা কে স্পর্শকাতর বলে বারাণসী দায়রা আদালত থেকে জেলা আদালতে সরানো হলো। এই নির্দেশ এসেছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।

জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে দাবি

প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় রাজনীতি উত্তাল জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব নিয়ে। ২০২১ সালেই ৫জন হিন্দু মহিলা মসজিদের ওজুখানা ও তহখানায় হিন্দু দেবীর অস্তিত্বের দাবি করেন। ও তার সাথে এও বলেন যে মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও আছে। এই দেবদেবীদের তাদের পুজো করবার অধিকার দেওয়া হোক এই মর্মে সেই ৫ জন মহিলা মামলাও করেন। এখানে বলা যায় এর আগেও জ্ঞানবাপী মসজিদের জমি দাবি করে মামলা করেছিল একটি হিন্দুত্ববাদী দল। যে মামলা বারাণসী দায়রা করতে এখনো বিচারাধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন ২৪ বছরের সব থেকে তলানিতে গেল টাকার মূল্য |

Gyanvapi Masjid নিয়ে আদালতের মতামত

তবে সেই মহিলাদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বারাণসী দায়রা আদালতএর বিচারক মসজিদের ভেতর যে ছবি ও ভিডিওগ্রাফি তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাকে চ্যালেঞ্জ করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন আইনজীবী হুফেজা আহমেতি। তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচুড় নির্দেশ দেন যে মসজিদে নামাজ পড়া কোনো ভাবেই বন্ধ করা যাবে না। প্রয়োজন হলে ওজুখানার জলাধারে যে শিবলিঙ্গ আছে বলে দাবি করা হচ্ছে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হবে। ও মসজিদে ওজুর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন দেশের খবর।

তবে যে ছবি ও ভিডিও পাওয়া গিয়েছে তা ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের (Archaeological Survey of India) পর্যবেক্ষণ ও মতামত সহ বারাণসী দায়রা আদালতে পৌঁছেছিল শুনানির জন্য। যা স্থগিত রেখে শুনানি জেলা কোর্টে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

মসজিদ নিয়ে বিতর্ক, নতুন নয়

তবে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ১৯৯২ সালে ভারতবর্ষ দেখেছে বাবরি মসজিদ আক্রমণ ও রামমন্দির সংক্রান্ত ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী দলগুলির হিংসা। বর্তমানে নানান সৌধ ও মসজিদ গুলিতে শিবলিঙ্গ উদ্ধার যেন নতুন ধারাবাহিকতায় পরিণত করেছে বিজেপি। এক ব্যক্তি হঠাৎই তাজমহল কে শিব মন্দির দাবি করে মামলা করেন। যদিও তা ধোপে টেকেনি। ও তুমুল ভর্ৎসিত হন ওই ব্যক্তি। তবে বারবার এ ধরণের ঘটনায় আদপে দেশে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি ও হিংসা ছড়াবারই চেষ্টা করেছে বিজেপি সহ হিন্দুত্ববাদী দল গুলি। এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

Latest articles

মোদি সরকার মাতছে উৎসবে, অন্যদিকে বেকারত্বের আঁধারে তলিয়ে যাচ্ছে দেশ। Unemployment In India

কথায় বলে কারোর পৌষমাস, কারোর সর্বনাশ। এই আপ্তবাক্য এখন সত্যি হচ্ছে ভারতের যুব সমাজের...